যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতি পাঁচজন নারীর একজনই জীবনে কোনো না কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হন। মোট সংখ্যার দিক থেকে এটি প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। ভুক্তভোগী এই নারীদের প্রায় অর্ধেকই ১৮ বছর বয়সের আগে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে গড়পড়তা সব শ্রেণীর নারী রয়েছেন। তবে কোনো কোনো শ্রেণীর নারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব শ্রেণীর মধ্যে বহুজাতি বা গোষ্ঠীর নারীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার হার ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ও আলাস্কার নারী ২৭ শতাংশ, হিস্পানিক নারী ১৫ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ নারী ২২ শতাংশ ও শ্বেতাঙ্গ নারী ১৯ শতাংশ। নির্যাতনের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অধিকাংশ নারীই পরিচিতজনদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ধর্ষকদের প্রায় সবাই (৯৮ শতাংশ) পুরুষ। বিপুলসংখ্যক এসব নারীর পাশাপাশি ১৬ লাখ পুরুষও জীবনে কখনো না কখনো ধর্ষণের শিকার হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের ওই প্রতিবেদনে। এসব পুরুষের এক-চতুর্থাংশের বেশি ১০ বছর বয়সের আগে নির্যাতনের শিকার হয়।
মার্কিন নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা দমনে অর্জিত অগ্রগতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সভাপতিত্বে হোয়াইট হাউস কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের আগে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
‘রেইপ অ্যান্ড সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট: এ রিনিউড কল টু অ্যাকশন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মতো ঘটনার পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলোর একটা রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক রীতিনীতির পরিবর্তন, ফৌজদারি অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি, যৌন নির্যাতন থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর নানা সমস্যা এবং সম্ভাবনাও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। পিটিআই।