উপজেলা নির্বাচনে বিরোধীদল সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিরোধীদল সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকেই মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছেন না।
তিনি বলেন, অনেকের বিরুদ্ধেই সাজানো ও বানোয়াট মামলা দেয়া হচ্ছে, যাতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারে। মনে হচ্ছে আওয়ামী বাকশালীদের ক্ষমতার শেষ বসন্ত উৎযাপিত হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ বর্জন করলেও উপজেলা নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ এবং সবার অংশগ্রহনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভেবে জনগণ নির্বাচনী মহোৎসবে মেতে ওঠার আশা বুকে ধারণ করেছিল। কিন্তু তা নিরাশায় পর্যবসিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সরকারের অত্যন্ত আজ্ঞাবহ ক্রীতদাসের ভূমিকা পালন করেছে। এখানে সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের নিকট জনগণ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং বিদ্বজ্জন কারো মতামত বা সমালোচনা বিবেচ্য বিষয় নয়।
এছাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রেখে সরকার সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জেতাতে অপদার্থ নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
খবরের কাগজের বরাত দিয়ে তিনি বলেন,নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর, বাগেরহাটের রামপাল, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও চৌহালী, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর, কক্সবাজারের উখিয়া, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জসহ সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, দোকান-পাট লুটপাট, ভাঙচুর, দলীয় কার্যালয় ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের মারধর, মামলা-হামলা অব্যাহত রয়েছে।
আশা প্রকাশ করে তিন বলেন, দেশের মুক্তিকামী জনগণ ধৈর্য, সংযম, এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতালোভীদের চিরকাল ক্ষমতাভোগের দিবাস্বপ্নকে চুরমার করে দেবে।
এ সময় ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, খায়রুল কবির খোকন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আব্দুল লতিফ জনি, আসুদুল করিম শাহীন ও আব্দুস সালাম।