সেলিব্রেটিদের বিভিন্ন ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ার খবর হরহামেশাই পাওয়া যায়। হলিউড-বলিউড-ঢালিউড সর্বত্রই চলেছে এমন স্ক্যান্ডাল। চেপে রাখতে চাইলেও এ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারকারা। বাংলাদেশের মডেল অভিনেত্রী গায়িকা সেলিব্রিটিরাও এই অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারকারা ‘স্ক্যান্ডালে’ না জড়িয়েও অপপ্রচারের বলি হয়েছেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারকরারা সেই অনৈতিক কাজটি সঙ্গোপনে করেও ফেলেছেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী-গায়িকা ভিডিও স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েন। একের পর এক প্রকাশ হওয়া এসব ভিডিও স্ক্যান্ডালের কারণে পুরো মিডিয়া অঙ্গনেই তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর এই ঝড় তাদের ক্যারিয়ারের জন্য হয়ে উঠে অশনি সংকেত। তারা পথ হারিয়ে ফেলেন, ঝরে পড়েন। অথচ মেধাবী এই তারকাদের দর্শকদেরকে দেয়ার ছিল অনেক কিছুই। এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য তারকাদের এমন স্খলন থেকে সচেতন করা। এমন-ই ১০ আলোচিত-সমালোচিত ভিডিও স্ক্যান্ডালের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো- প্রভা
সময়টা ২০১০ সাল। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা তখন দেশের শীর্ষ মডেল ও অভিনেত্রী। ঠিক সেই সময়েই তার একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন তার সেই সময়ের হবু বর রাজীব। মুহুর্তেই তা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব এবং প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চুড়ান্ত হয়েছিলো। সব ঠিকঠাক এগুচ্ছিলোও। তাই অনেকটা দাম্পত্য জীবনের মতোই ছিলো তাদের সম্পর্ক। কিন্তু এর মাঝে অভিনেতা অপূর্বর সাথে প্রভার মনদেয়া নেয়া হলে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করে বসেন। এরপরই প্রতিহিংসার বশে রাজীব তার হবু স্ত্রী প্রভার একান্ত সময়ের কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। প্রভার পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে তুমুল বির্তকে জড়িয়ে পড়েন প্রভা। অপূর্বর সাথেও সংসার ভেঙ্গে যায়। ক্যারিয়ারে ধস নামে। দীর্ঘ ২ বছর মিডিয়া থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। চৈতি
প্রভার আপত্তিকর ভিডিও চিত্র প্রকাশ হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের বছরই মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করা হয়েছিলো। এই আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি প্রকাশের পরপরই তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েন চৈতি। এ ঘটনা মিডিয়া অঙ্গনসহ সাধারণ মহলেও বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।মিলা
জনপ্রিয় পপ শিল্পী মিলা’র ক্যারিয়ার শুরু হয় গানের মাধ্যমেই। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেলিং করেন এই পপ তারকা। কিন্তু ক্যারিয়ারের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই তার নাম চলে আসে ভিডিও স্ক্যান্ডালের তালিকায়। ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুনীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিও চিত্রের মেয়েটি তিনি নন। এটি আসলেই মিলা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে স্ক্যান্ডাল থেকে রক্ষা পাননি তিনি।তিন্নি
ভিডিও স্ক্যান্ডালের সাথে জড়িয়ে পরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল জুটি। একটি হোটেল কক্ষে তরুন-তরুনীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেয়া হয় বাজারে। ভিডিওটির পাত্র-পাত্রী হিসেবে চলে আসে এ জুটির নাম। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি। কিন্তু সমালোচনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি তুখোড় এই তারকা-জুটির। তিন্নিকে এখন শোবিজে দেখা যায় না বললেই চলে।শখ
জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিওিও ক্লিপটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই এটি নানাভাবে ছড়িয়ে পরে সবর্ত্র। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি আসলেই শখ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর শখের ক্যারিয়ার ইমেজে দর্শকদের নেতিবাচক বার্তা পৌছায়।মীম
লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম বেশ ক্লিন ইমেজ নিয়েই মিডিয়ায় ছিলেন। কিন্তু এতে বাঁধা হয়ে উঠে একটি আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ। গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে আপত্তিকর দৃশ্যের এ ফুটেজ প্রকাশ হয়। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই তারকা বিদ্যা সিনহা মিম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।নোভা
মডেল অভিনেত্রী নোভার নামও জড়িয়ে পরে ভিডিও স্ক্যান্ডালে। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে একটি ভিডিও ফুটেজ বির্তকে ফেলে দেয় এই তারকাকে। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। যা এ তারকাকে স্ক্যান্ডালের তালিকায় ফেলে দেয়। যদিও ফুটেজটির মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সারিকা
ভিডিও স্ক্যান্ডালের ফাঁদে পড়তে হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকাকেও। ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্ণো ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। এই ভিডিও চিত্রটিও সেলফোন, মনিটরে ঘুরে ঘুরে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকা নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা দাবি করেছেন।পরশী
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পরশীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। ভিডিও স্ক্যান্ডালের শিকার হতে হয়েছে তাকেও। পরশীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটির পরিচয় জানা যায়নি।বিন্দু
নাট্যকার ও সাংবাদিক অরুন চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় তারকা বিন্দুর নাম। একটি অফিস কক্ষে গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত এই ভিডিওতে কথিত অরুন চৌধুরীর সাথে যে নারীটিকে দেখা গেছে সেই নারীটি মডেল বিন্দু বলে বিভিন্ন যায়গায় প্রচার হয়। এটিকে বিন্দুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলেও দাবি করেন তার নিকটজনরা।