কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রায়ই হয় এমন সাধারণ সমস্যার সমাধান নিজে নিজেই করা যায়। এমন ১০টি সমস্যার সমাধান নিয়ে এ আয়োজন। আজ থাকছে তিনটি সমাধান। লিখেছেন মঈন চৌধুরী
কোনো সমস্যা হলে অন্য কিছু করার আগে প্রথম কাজটিই হবে কম্পিউটার পুনরায় চালু বা রিস্টার্ট করা। এই কাজটি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। কম্পিউটারে সংযুক্ত কোনো যন্ত্রপাতি সমস্যা করলে সেটি বন্ধ করে আবার চালু করুন। তাতে কাজ না হলে যন্ত্রটি প্রথমে কম্পিউটার থেকে খুলে আবার লাগিয়ে নিন, তারপর সেটির সর্বশেষ সংস্করণের চালক সফটওয়্যার বা ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে আবার ইনস্টল করুন।
১. ধীরগতির কম্পিউটার
কম্পিউটার খুব ধীরগতির হলে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে এটি আসলে কম্পিউটারের নিজের সমস্যা কি না। ওয়েবসাইট দেখতে সময় বেশি লাগা বা অনলাইনে ভিডিও দেখার সময় বাফারিং অবিরাম চলতে থাকাটা কম্পিউটারের সমস্যা না-ও হতে পারে। যদি মনে হয় কম্পিউটারেই সমস্যা, তাহলে দেখে নিন হার্ডডিস্কের যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা আছে (সাধারণত C:), তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা আছে কি না। অপারেটিং সিস্টেম চলার সময় উইন্ডোজের ফাইল তৈরিতে খালি জায়গার প্রয়োজন হয়। অপর্যাপ্ত থাকলে ড্রাইভের কিছু জায়গা খালি করে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো ডিস্কম্যাক্স নামের একটি প্রোগ্রাম। নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/rgcY4Q। রিসাইকল বিন, ইনস্টলেশন রেমন্যান্ট, ইউজার হিস্ট্রি, টেম্পরারি ফাইল, কুকিজ, উইন্ডোজ ক্যাশ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সবকিছু মুছে সিস্টেম ড্রাইভসহ পুরো হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করে ফেলবে।
ধীরগতির আরেকটি সমাধান হলো মাইক্রোসফট সিস্টেম কনফিগারেশন টুল। অনেক অ্যাপলিকেশন আছে যেগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে কম্পিউটার পুরোপুরি প্রস্তুত হতে বাড়তি সময় লাগায়। এ জন্য Windows Key + R কি চেপে তাতে msconfig লিখে এন্টার চাপুন। এখান থেকে যেসব স্টার্টআপ আইটেম অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, সেগুলো থেকে টিক উঠিয়ে দিন। তবে ম্যানুফ্যাকচারার ট্যাবে মাইক্রোসফট করপোরেশন লেখা আইটেমগুলো থেকে টিক ওঠাবেন না। এবার ওকে চেপে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হলে ভালো সমাধান হলো www.speedtest.net ওয়েব ঠিকানা। এখানে স্পিড টেস্ট চালিয়ে দেখুন ইন্টারনেটের গতি কেমন। ইন্টারনেট সেবাদাতার দেওয়া সংযোগের গতির অন্তত অর্ধেক পাচ্ছেন কি না, পিং করলে ১০০ মিলিসেকেন্ডের কম থাকে কি না। আশানুরূপ না হলে পরীক্ষা করে দেখুন, কোনো কিছু ডাউনলোড বা আপলোড হচ্ছে কি না। অনেক টরেন্ট ডাউনলোডিং প্রোগ্রাম টাস্কবারের বদলে সিস্টেম ট্রেতে থেকে নেপথ্যে ডেটা ডাউনলোড বা আপলোড করতে থাকে। উইন্ডোজের অটোমেটিক আপডেট নির্বাচন করা থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড চলতে থাকে। এটি বন্ধ করতে চাইলে স্টার্ট বাটন চেপে সার্চ বক্সে লিখুন windows update এবং এন্টার চাপুন। ‘চেঞ্জ সেটিংস’ ক্লিক করে ‘নেভার চেক ফর আপডেটস’ অপশনটি নির্বাচন করে ওকে করুন। নেটওয়ার্কে ব্যবহূত হার্ডওয়্যারও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। রাউটার বা সুইচের রিসেট বাটন চেপে সংযোগ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। অথবা দু-এক সেকেন্ডের জন্য পাওয়ার কেবল বিচ্ছিন্ন করেও এটা করা যায়।
৩. কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট
হার্ডওয়্যার সমস্যা করলে সেটা শনাক্ত করে সমাধান করা একটু কঠিনই। প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে, উইন্ডোজ হালনাগাদ হচ্ছে কি না। এসব আপডেট ইনস্টল হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়। অনেক সময় ভাইরাস বা অ্যাডওয়্যারের কারণে এমনটা হতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অথবা বিনা মূল্যের মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস সর্বশেষ হালনাগাদসহ ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে ইনস্টল করে স্ক্যান করে নিতে পারেন। নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/EW85AC আর এর সর্বশেষ ডেফিনিশন আপডেট ফাইল নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/8TnmU5। কম্পিউটারের ধরন অনুযায়ী (৩২ বা ৬৪ বিট) ‘ম্যানুয়ালি ডাউনলোড দ্য লেটেস্ট আপডেটস’ সেকশন থেকে এই সফটওয়্যারটির হালনাগাদ ফাইল নামাতে হবে অথবা ইন্টারনেটে সরাসরি হালনাগা করে নিতে পারেন।
কম্পিউটারের কোনো যন্ত্রাংশ মাত্রাতিরিক্ত গরম হলেও কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট নিতে পারে। আধুনিক অনেক কম্পিউটারে সেফগার্ড থাকে, যা যন্ত্রপাতি গরম হলে নিজে নিজেই কম্পিউটার বন্ধ করে দেয়। সিপিইউ খোলার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং তাতে কোনো ওয়ারেন্টি সিল না থাকলে সেটি খুলে অনেক দিনের জমা ধুলোবালি ব্রাশ দিয়ে সাবধানে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তারপর র্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগিয়ে নিন এবং হার্ডডিস্ক, ডিভিডি-রম ড্রাইভে সংযুক্ত তারগুলো ভালোভাবে লাগিয়ে রিস্টার্ট হওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৪. ডেস্কটপে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন
ওয়েব সাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) খোলা না রাখলেও যদি ডেস্কটপে পপ-আপ উইন্ডো এসে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, তবে বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারে কোনো অ্যাডওয়্যার ইনস্টল হয়ে আছে। এ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ কাজ নয়। ইন্টারনেটে পিসি স্পিড-আপ, পিসি অপটিমাইজার ইত্যাদি নামে প্রচুর সিস্টেম ইউটিলিট টুলস আছে কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ করে খুব কমই। এ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত এবং বিনা মূল্যে কাজের অ্যাডওয়্যার স্ক্যানার হচ্ছে ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি ম্যালওয়্যার টুল। প্রথম কাজ হবে আগে থেকে ইনস্টল করা অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পুরো সিস্টেম স্ক্যান করা।
এতে কাজ না হলে সব ধরনের ম্যালওয়্যার মোছার জন্য কার্যকর ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি ম্যালওয়ার প্রোগ্রামটি ইন্টারনেটের www.malwarebytes.org এই ওয়েব ঠিকানা থেকে বিনা মূল্যের সংস্করণটি নামিয়ে ইনস্টল করুন। স্ক্যান করার আগে বর্তমানে কোনো অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে প্রথমে নিষ্ক্রিয় করে নিন। এর পরও কাজ না হলে সিস্টেম ড্রাইভে (সাধারণত সি ড্রাইভ) রাখা আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো অন্যত্র সরিয়ে অপারেটিং সিস্টেম পুরোপুরি নতুন করে ইনস্টল করতে হবে।
৫. গুগল ঠিকমতো কাজ না করা
ব্রাউজার হাইজ্যাক হওয়া ম্যালওয়্যারেরই আরেকটি ধরন। কিছু প্রোগ্রাম আছে, যা ওয়েব ব্রাউজারটি দখলে নিয়ে আপনার করা গুগল সার্চ গোপনে অন্য কোনো ভুয়া ওয়েবসাইটের পেজে নিয়ে যায়। তারপর কোনো কিছু জানতে চেয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়াসহ আপনার সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে। হালের সব ইন্টারনেট সিকিউরিটি অথবা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারে রিয়েল-টাইম স্ক্যানার সংযুক্ত থাকে। প্রোগ্রামটির সেটিংস ঘেঁটে সেটি কার্যকর আছে কি না দেখে নিন। কাজ না হলে কন্ট্রোল প্যানেলের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ফিচারস অপশন থেকে ব্রাউজারটি বেছে নিয়ে আনইনস্টল করে ফেলুন। পছন্দসই ব্রাউজারের সর্বশেষ সংস্করণ ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে ইনস্টল করুন।
অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় বাড়তি অপশন হিসেবে তাদের নির্ধারিত টুলবার ইনস্টল করতে বলে। টুলবার ইনস্টল হয়ে গেলে ব্রাউজারে ব্যবহূত ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনের বদলে তাদের কাস্টম সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহূত হয়ে আপনার তথ্য অনুসন্ধানে সঠিক ফল নাও দিতে পারে। সে জন্য অপরিচিত সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় কাস্টম অপশন নির্বাচন করে ধৈর্যসহকারে নির্দেশনা দেখে দেখে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করুন। বিনা মূল্যে কোনো সেবা নেওয়ার অফার থাকলে সেগুলো পরিহার করুন। তার পরও যদি দেখেন, আপনার ব্রাউজারে অযাচিত অনেক অপশনে ভরপুর হয়ে আছে, তাহলে কন্ট্রোল প্যানেলের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ফিচারস অপশন থেকে টুলবার প্রোগ্রামটি চিহ্নিত করে মুছে ফেলুন।
৬. ওয়াই-ফাই সংযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন
ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগ নিয়ে সমস্যায় পড়লে একটু ধাঁধায়ই পড়তে হয়। এটা কি নিজের কম্পিউটারে সমস্যা?
রাউটারে সমস্যা?
নাকি আইএসপির সমস্যা? এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সেবাদাতা বা আইএসপিকে ফোন করার আগে নিজে নিজে কিছুটা চেষ্টা করা যেতে পারে। নিশ্চিত করুন, আপনার কম্পিউটারটি ওয়াই-ফাই রাউটারের আওতার ভেতরেই আছে কি না। তারপর দেখুন কম্পিউটারের তারহীন কার্ডটির সর্বশেষ ড্রাইভার ইনস্টল করা আছে কি না। এবার উইন্ডোজ ট্রাবলশুট ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
টাস্কবারের সিস্টেম ট্রেতে থাকা ওয়াই-ফাই আইকনে ডান ক্লিক করে ‘ট্রাবলশুট প্রবলেমস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
উইন্ডোজের নিজস্ব প্রোগ্রাম উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ডায়াগনস্টিক নামের টুলসটি সমস্যার সমাধান যদি না-ও করে, কিছু নির্দেশনা তো অন্তত পাওয়া যাবে।
কম্পিউটারের দেখভাল করবে সফটওয়্যার
কম্পিউটারের সব সমস্যা দেখাশোনার এবং সেসব ঠিক করে দেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ একটি সফটওয়্যার হচ্ছে টিউনআপ ইউটিলিটি। কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে তা সমাধানের নির্দেশ দিলে সফটওয়্যারটি নিজে নিজেই সমাধান করে দেবে। এটি ব্যবহারে একই সঙ্গে কম্পিউটারের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে এবং সব কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে।
সফটওয়্যারটি www.tune-up.com/download ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ সংস্করণ নামিয়ে নিয়ে কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিন। এটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে না, তাই সফটওয়্যারটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে।
ইনস্টল শেষে 1-Click Maintenance চালু হবে। Start analysis now চেপে এটি চালু করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে Run maintenance চাপলে প্রাথমিক অবস্থায় এটি আগে থেকে নির্দেশিত এবং চিহ্নিত সমস্যা সমাধান করবে। এবার ডেস্কটপের Tune up Utilities 2013 চেপে স্টার্ট সেন্টার চালু করুন। এখানে Status & recommendations ট্যাব থেকে Increase Performance, Fix problems, System protection-এ পরিবর্তন এনে কম্পিউটার বিভিন্ন গতি বৃদ্ধি, সমস্যা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। Optimize computer থেকে Disable programs খুলুন। খেয়াল করুন এখানে কম্পিউটার চালু হওয়া, অপারেশন এবং কম্পিউটার বন্ধ হওয়া চিত্র আলাদা তিনটি রেখার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। এখন ডানের যেকোনো ইনস্টল থাকা প্রোগ্রামে নির্বাচন করলে রেখা তিনটির চিত্রের পরিবর্তন হবে। নির্বাচিত যে প্রোগ্রামের রেখা বেশি দেখাবে সেটি নির্বাচন করে এন্টার চাপুন অথবা ডান ক্লিক করে Disabled করে দিন। এভাবে চালু থাকা প্রোগ্রামকে নিষ্ক্রিয় করে দিলে অযথা সিস্টেমের খালি জায়গা দখল না করে কম্পিউটার চালু-বন্ধ এবং অন্যান্য অপারেশন দ্রুত হতে সহায়তা করবে। পরে ওই প্রোগ্রাম চালু করলে সেটার কাজ করা যাবে, কিন্তু অযথা সিস্টেমের জায়গা দখল করবে না। এভাবে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করুন। এখানের তালিকায় থাকা বিভিন্ন অপশন ব্যবহার করে কম্পিউটারের অপারেশন দ্রুত করানো যাবে। তাই Optimize registry and performance বিভাগ থেকে clean registry, defragment registry, defragment hard disk চেপে সিস্টেমের রেজিস্ট্রির গতি বাড়ানো যায়। Fix problems ট্যাব চেপে সাধারণ সমস্যা এবং হার্ডডিস্কের সমস্যার সমাধান আনা যায়। ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা আছে টিউনআপ ইউটিলিটিতে। PC optimization mode বিভাগের Economy এবং Turbo মুড ব্যবহার করে ল্যাপটপের ব্যাটারির দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখার ব্যবস্থা করা যায়।
উইন্ডোজ আটের দুটিটিপস
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য। সম্পূর্ণ নতুনভাবে উইন্ডোজ ৮ চালু হওয়ায় অনেকেই বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়েন। এমন দুটি বিষয় সমাধানের টিপস দেওয়া হলো।
অ্যাপস চালু না হলে
উইন্ডোজ আটের কোনো অ্যাপে ক্লিক করছেন অথচ কিছুই ঘটছে না, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে পর্দার রেজল্যুশনের কমবেশির কারণে তা প্রদর্শিত হচ্ছে না। বিশেষ করে উইন্ডোজ আটের অ্যাপস বর্তমানে ১০২৪ x ৭৬৮ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের কম সমর্থন করে না। তাই অ্যাপস যাতে দেখা যায়, সে জন্য ডেক্সটপে ডান বোতাম চেপে Screen Resolution নির্বাচন করে সেটি খুলে ১০২৪ x ৭৬৮ বা ১৩৬৬ x ৭৬৮ নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে সমাধান না পেলে কম্পিউটারের গ্রাফিকস কার্ডের ড্রাইভারটি হালনাগাদ (আপডেট) করে নিতে হবে।
স্টোর সমস্যা
উইন্ডোজ আটের জন্য অ্যাপস নামিয়ে নেওয়ার অন্যতম সুবিধা রয়েছে মাইক্রোসফট স্টোরে। এখান থেকে যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল বা হালনাগাদ করে নেওয়া যায় কয়েক মুহূর্তেই। কিন্তু আপনার কম্পিউটারে যদি সেটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন না হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এটি স্টোর করাপ্ট হওয়ার কারণে হচ্ছে না।
মাইক্রোসফট এমন সমস্যায় সমাধান দিয়ে থাকে ছোট্ট একটি কায়দার মাধ্যমে। এ জন্য Win + R একসঙ্গে চেপে রান চালু করুন। এখানে wsreset লিখে এন্টার চাপুন। তাহলে স্টোর ক্যাশ দূর হয়ে অ্যাপস ইনস্টল ও আপডেট সমস্যার সমাধান হবে।
যদি উইন্ডোজ হালনাগাদে কোনো সমস্যা হয় বা অ্যাপস চলতে সমস্যা করে, তবে Win + W একসঙ্গে চেপে এখানে trouble লিখুন। এবার Troubleshooting খুঁজে নিয়ে তাতে ক্লিক করুন। এবার এখানের Fix problems with Windows update-এ ক্লিক করলে কী ধরনের সমস্যা হয়েছে, সটি খুঁজে নিয়ে তার সমাধান আনা যাবে।