আগুনে গজারিয়া আদর্শ একাডেমী স্কুল ও সুলতানা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর নতুন বই ও স্কুলের বেঞ্চসহ সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
গজারিয়া আদর্শ একাডেমীর অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির জানান, দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে তার স্কুলটি সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় স্কুল ভবনের সামনে পুরনো ভাঙাচোরা কয়েকটি বেঞ্চিতে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে।
রাস্তা সংলগ্ন স্কুল হওয়ায় গাড়ির বিকট শব্দ ও ধূলাবালিতে শিশুদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাছে স্কুলের বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিলসহ আনুষঙ্গিক মালমাল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
সুলতানা মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনির আহম্মেদ জানান, আগুনে তার বিদ্যালয় ভবনের সব আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় ভবনসংলগ্ন পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও মক্তবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য না পেলেও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্কুল ফান্ড থেকে ব্ঞ্চে ও ব্ল্যাকবোর্ড তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর সংস্কারের জন্য এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
বরাদ্দ পেলে দ্রত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হওয়ায় গত ২ ও ৩ জানুয়ারি জেলার দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার ১০টি বিদ্যালয়ে আগুন দেয় নির্বাচনবিরোধীরা।
এদের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ায় বাকি আটটি বিদ্যালয় তাদের নিজস্ব ভবনে ক্লাস শুরু করেছে।
আগুনে ১০টি বিদ্যালয়ে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতে দুটি করে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এ সকল মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করলেও সোনাগাজীতে দুই মামলায় পাঁচজন ও দাগনভূঞায় দুই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।