যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) এখন স্থগিত হয়ে আছে।
তবে শিগগিরই এ স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘যেসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিত করেছে, তার বেশির ভাগই সমাধান করা হয়েছে।’ তাই এপ্রিল মাসের মধ্যেই এ স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। একই সঙ্গে আরও বেশি ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্তির প্রচেষ্টাও চলছে বলে জানান।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নতুন পরিচালনা পর্ষদ গতকাল রোববার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁদের জিএসপি নিয়ে আশাবাদের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী দিনে বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ তার একটি। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে হবে।
বৈঠকে ঢাকা চেম্বার ব্যবসায় আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ ১১ দফা সুপারিশ তুলে ধরে।
সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, কয়েক মাসের রাজনৈতিক আন্দোলন ও সহিংসতায় দেশে যে নেতিবাচক ভাবমূর্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্ত প্রয়োজন।
বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ, ঢাকা চেম্বারের দুই সহসভাপতি ওসামা তাসীর, খন্দকার শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী পরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জন ডানিলোয়িজের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ ছাড়া হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফ্ট) এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।