beta I ব্যবহারবিধি FacebookTwitterGoogle+
Bangla Font Help
LoginRegister
Prothom Aloঅর্থনীতি
প্রচ্ছদআজকের পত্রিকাবাংলাদেশআন্তর্জাতিকঅর্থনীতিশেয়ারবাজারবাণিজ্য সংবাদবিশ্লেষণবিদেশের খবরপোশাক শিল্পমানবসম্পদঅপরাধবিবিধমতামতখেলাবিনোদনফিচারবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজীবনযাপনআরও…
প্রচ্ছদঅর্থনীতিসংবাদ

বাণিজ্য মেলায় তরুণীদের গয়নায় আগ্রহ বেশি

তৈজসপত্র বিক্রি জমজমাট
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০১:৫০, জানুয়ারি ২৬, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ

বাণিজ্য মেলায় একটি স্টলে তৈজসপত্র কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা -ফোকাস বাংলাঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিত্যব্যবহার্য তৈজসপত্র এবং গয়না ও প্রসাধনসামগ্রী কেনার ধুম পড়েছে। আর মূল্য ছাড় ঘোষণা দিয়ে অবিরাম ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও স্টলে ক্রেতাদের ভিড় অন্য দোকানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। আবার এসব দোকানে পুরুষদের চেয়ে নারী ক্রেতাই বেশি।
মেলায় ভারত, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বাহারি পণ্যের স্টলগুলোয়ও চলছে বেশ বেচাকেনা।
গতকাল শনিবার শেরেবাংলা নগরের বাণিজ্য মেলায় সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে। শুক্রবারের মতো গতকালও দুপুরের পর থেকে মেলায় ভিড় বাড়তে থাকে। শেষ বিকেলে তা জনারণ্যে পরিণত হয়।
মেলায় রয়েছে হাঁড়িপাতিল, ওভেন, থালাবাটি, সসপেন, ননস্টিকি হাঁড়িপাতিল, প্রেসার কুকার, হটপট, চামচসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র। ঘর সাজানোর রয়েছে শোপিস, বেডশিট, পর্দা, পাপস ইত্যাদি। এ ছাড়া প্লাস্টিক পণ্যের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।
বিদেশি তৈজসপত্রে আগ্রহ: মেলা ঘুরে দেখা গেছে, তৈজসপত্রগুলোর মধ্যে নতুন ও ব্যতিক্রমী পণ্যের দিকে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের
ভারতীয় পণ্যের স্টলে দেখা গেছে, ভেজিটেবল চপার ৩০০ টাকা, ভেজিটেবল স্লাইসার ৪০০ টাকা ও টমোটো চপার ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তাই এই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় একটু বেশি।
আবার ইরানি পণ্যের স্টলে তিনটি হটপট একসঙ্গে নিলে এক হাজার ৩৫০ টাকায় ছেড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। মেলামাইনের একটি থালার দাম রাখা হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর ভাতের ডিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। মেলায় একাধিক ইরানি পণ্যের স্টল রয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামের দোকানে একটি মাঝারি আকারের ননস্টিকি কড়াইয়ের দাম ৬০০ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতা।
মেলায় আসা মিরপুরের গৃহিণী ফারহানা শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদেশী পণ্য তো আর এভাবে সারা বছর পাওয়া যায় না। তাই মেলায় এসে একসঙ্গে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের তৈজসপত্র পাওয়া যায়। প্রতিবছরই কোনো না কোনো তৈজসপত্র কিনি। এবার ভারতীয় দোকান থেকে ভেজিটেবল ও টমেটো চপার কিনলাম।’
তবে শুধু বিদেশি নয়, দেশি তৈজসপত্রের দোকানে বেশ ভিড়। এ ক্ষেত্রে একটু দামি ব্র্যান্ডের দোকানেই বেশি ক্রেতা ঝুঁকছেন।
আরএফএল প্লাষ্টিকপণ্যের প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, পণ্যের মূল্য পরিশোধের একাধিক কাউন্টারে ক্রেতাদের ভিড়। এই দোকানে মূলত প্লাষ্টিকের বোল, বাটি, ঝুড়ি, বালতি, মগ ইত্যাদি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তবে মেলায় বিছানার চাদর, পর্দা, পাপসসহ এই ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদাও বেশ। খ্যাতনামা জাবের অ্যান্ড জুবায়েরের মাঝারি আকারের তিনটি বিছানার চাদর বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকায়।
কুমিল্লা এন্টারপ্রাইজে গিয়ে দেখা গেছে, ৪২ পিসের একটি ডিনারসেটের দাম সাড়ে আট হাজার টাকা। আর ৩১ পিসের সেটের দাম চার হাজার ২০০ টাকা।
ক্রেতা আকর্ষণে মূল্য ছাড়:
বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন হারে মূল্যছাড় দিয়ে হাঁকডাক করছেন বিক্রেতারা। আবার কেউ কেউ দোকানের সামনেই মূল্যছাড়ের ঘোষণাপত্র ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
ওভেন, সসপেন, ননস্টিকি হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে সুমি এন্টারপ্রাইজ। কেন এত ছাড় দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, মূলত পণ্যের বিক্রি বাড়াতেই এই ছাড়। মেলায় এতে খরচ করে স্টল নেওয়া হয়েছে, সেই খরচ তো পুষিয়ে আনতে হবে।
আর কুমিল্লা এন্টারপ্রাইজ ১০ শতাংশ মূল্য ছাড় ঘোষণা করেছে। এই দোকানের বেশির ভাগই ডিনারসেট বিক্রি হচ্ছে।
দিল্লি অ্যালুমিনিয়াম তাদের সব পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সব দোকানেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তরুণীদের আগ্রহ গয়নায়: দেশি-বিদেশি গয়নার দোকানে তরুণীদের সারা দিনই ভিড় লেগে থাকে। বিশেষ করে ইরান, তুরস্ক ও ভারতীয় প্রসাধনের স্টলে এই ভিড় একটু বেশি।
তুরস্কের স্টলে ক্রিস্টালের গয়না বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানে একটি আংটি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, গলার চেইন ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা, কানের দুল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ইরান ও মালয়েশিয়ার গয়নার চাহিদাও বেশ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কায়নাজ মোস্তফা জানান, বছরের অন্য সময় একসঙ্গে এত বিদেশি গয়নার দোকান পাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকে পছন্দমতো গয়না কেনা যায়।