ছে

ভারত সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে জেনারেল মইনুল ইসলামের গোপন বৈঠক হয়েছে সিঙ্গাপুরে। ভোটার বিহীন নির্বাচন কালিন সময়ে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার ভুমিকায় অসন্তুষ্ট ভারত সরকারের সাথে তাদের অনুগত বাংলাদেশী এই জেনারেলের বৈঠক এক আগাম সতর্ক সংকেত বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সেনাপ্রধান বানানো ও  সেনাবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর সহায়ক বাহিনী বানানোর প্রক্রিয়া নিয়ে এই আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

 

সুত্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সিংগাপুরে অবস্থানরত ভারতীয় এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথে আলোচনার জন্য বেড়ানোর উছিলায় সিজিএস লে জেনারেল মইনুল সিঙ্গাপুরে সপরিবারে যান। উল্লেখ্য চাকুরির রেকর্ডে ভারতীয়দের আশীর্বাদপুষ্ট এবং তাদের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশী এ জেনারেল ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনি ও দেশপ্রেমিক মহলে আলোচিত ও চিহ্নিত।

সহসাই সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়াকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে লে জেনারেল মইনুলকে  নিয়োগ দেয়া এবং বাংলাদেশের প্রতি অনুগত দেশপ্রেমিক সেনা জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার ও কর্নেল পদমর্যাদার বেশ কিছু কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে একটি তালিকা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সুত্র জানিয়েছে। এছাড়াও সেনাপ্রধান হলে মইনুল ভারতের পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফরমেশনে ও লজিস্টিক বিষয়াদিতে পরিবর্তন আনবেন বলে শিব শংকরকে আশ্বস্ত করেছেন।

সামরিক সরঞ্জামাদি ও যুদ্ধাস্ত্র ক্রয়ে ভবিষ্যতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে ভারতের পরামর্শ মেনে রাশিয়া থেকে ক্রয়ের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। কারণ সহায়ক বাহিনী হিসেবে একই যুদ্ধাস্ত্র না হলে ভবিষ্যতে চীন বা মায়ানমারের সাথে কোন সামরিক সংঘাত হলে সাপ্লাই পেতে বা দিতে সমস্যা হতে পারে মাথায় রেখেই এ কাজটি ভারত করতে চাচ্ছে।  ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় বাহিনীর কিছু অফিসারকে বাংলাদেশী সাজিয়ে নিযুক্ত করতে ভারত সক্ষম হয়েছে বলে অন্য একটি সুত্র জানিয়েছে। এই সকল ভারতীয় অফিসারদের দ্বারাই পদোন্নতি ও বদলির বিষয়ে তালিকা বানানো হয়, যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেন।

এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধীরে ধীরে ভারতীয় বাহিনীর সহায়ক বাহিনীতে পরিণত করার বিষয়ে চীন ও মায়ানমার সেনাবাহিনী উৎকণ্ঠিত বলে জানা গেছে। এমনকি ন্যাটোও এ বিষয়টিকে সুনজরে দেখছে না বলে বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে।