আজ বুয়া আসে নাই, কাল সাতসকালে অফিসে যেতে হলো, সেদিন ঘুম থেকে দেরি করে উঠলাম—প্রতিদিনই এমনতরো কোনো না কোনো ঝক্কির যেন শেষ নেই! আর এতসব ঝুটঝামেলায় শেষ পর্যন্ত সব করতে হলেও বাদ পড়ে গেল সকালের নাশতাটাই! কেউ কেউ তো ওজন কমানো বা স্লিম হওয়ার জন্যও ইচ্ছে করেই না খেয়ে থাকছেন সকালে। কিন্তু কথায় আছে, নাশতা করো রাজার মতো!
ব্যস্ত নগরজীবনে দিন দিন এমন নাশতা-ফাঁকিবাজের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরাও। মুম্বাইয়ের নির্মলা নিকেতন কলেজের এক সাম্প্রতিক গবেষণায়ও এমনই প্রমাণ মিলেছে। এদিকে, নাশতা না করলে নানা শারীরিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিচ্ছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
চিকিত্সা পুষ্টিবিজ্ঞানী নূপুর কৃষ্ণান জানিয়েছেন, ‘ওজন কমানোর জন্য নাশতা না খেলে কোনো লাভ তো হবেই না বরং তাতে অনেক সমস্যা ডেকে আনবে। এ অভ্যাসে খাবারে অরুচি থেকে শুরু করে চুল পড়া, স্মৃতি কমে যাওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।’
নাশতা না করার অন্যান্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন আরেক পুষ্টিবিজ্ঞানী সোনাল রাভাল। তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত নাশতা না খেলে মাথাব্যথায় ভোগা, দুর্বল লাগা, মুটিয়ে যাওয়া, পুষ্টিহীনতায় ভোগা এবং মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে। আর সার্বিকভাবে কর্মক্ষমতাও কমে যেতে পারে।

সকালে নাশতা বানানোর ঝক্কি এড়াতে বা সময় বাঁচাতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ফলমূল, দুধ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। খেতে পারেন দুধ বা দইয়ের সঙ্গে চিড়া বা মুড়ি। প্রয়োজনে নানা রকমের সিরিয়ালের মতো তৈরি খাবারও খাওয়া যেতে পারে। এসব সিরিয়াল সরাসরি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলা যায় এবং এটা প্রস্তুত করতে খুবই কম সময় লাগে। তবে এমন ‘তৈরি খাবার’ কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং ভালো করে মোড়কের তথ্যগুলো দেখে নিতে হবে যাতে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সিরিয়াল নিশ্চিত হয়। তবে, কোনো অবস্থাতেই নাশতা খাওয়া বাদ দেওয়াটা ঠিক হবে না।