এবার ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে এক নাবালিকা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর পাঁচ ধর্ষকের সবাই মেয়েটির নাবালক প্রতিবেশী।
তার খেলার সাথিও। এদের প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ১৬। এর মাধ্যমে আরো একবার কলঙ্কের জন্মদিলো ভারত। আরো একবার প্রশ্নের সম্মুখিন হলো নাবালকত্বের সংজ্ঞা। প্রশ্নের মুখে শৈশবের অর্থ।
১২ বছরের মেয়েটি খেলছিল তার পাঁচ বন্ধুর সাথে। সেই বন্ধুরাই তাকে একটি বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে সারারাত ধরে যৌন অত্যাচার ও ধর্ষণ চালায়!
ঘটনার পরের দিন কিশোরীর বাবা-মা তাকে বাড়িটি থেকে খুঁজে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
পাঁচ অভিযুক্ত কিশোর বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বর্তমানে আসামের ‘স্টেট হোম ফর উইমেন` এর পুনর্বাসণ কেন্দ্রে রয়েছে ।
দিল্লি গণধর্ষণে দোষী পাঁচ জনের মধ্যে যে নাবালক ছিল, তার ভূমিকা ছিল নৃশংসতম। চলন্ত বাসে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়েনি সে। মেয়েটির গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঢুকিয়ে মারাত্মক জখমও করেছিলো।
এই ঘটনার পরপরই ভারতে বিতর্ক শুরু হয় ‘নাবালকত্ব’র বয়সসীমা নিয়ে। জোরালো দাবি উঠেছিল সাবালক হওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার। কিন্তু সংসদে সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়।
আসামের এই ঘটনা আরো একবার সেই বিতর্ককেই চাগিয়ে দিল।