ইন্টারনেটের বিকল্প প্রযুক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থা হিসেবে বিটক্লাউড নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন মার্কিন গবেষকেরা। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিকল্প ইন্টারনেট-সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিটক্লাউড উদ্যোক্তাদের।
‘বিটকয়েন মাইনিং’ পদ্ধতির মতো পদ্ধতিতে বিটক্লাউডের সেবা দেওয়া হবে বলে দাবি করছেন এই প্রকল্পটির উদ্যোক্তারা। স্বাধীন গ্রাহক থেকে গ্রাহকের মধ্যে অনলাইন লেনদেনের ডিজিটাল মাধ্যম এটি। ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রটোকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রার নাম বিটকয়েন। এ ভারচুয়াল মুদ্রা লেনদেনের জন্য কোনো ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিটক্লাউড পদ্ধতিতে অর্থের বিনিময়ে তথ্য সংরক্ষণ, রাউটিং ও ব্যান্ডউইথ দেওয়া সম্ভব হবে।বর্তমানে বিটক্লাউড তৈরির লক্ষ্যে ডেভেলপার খুঁজছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, ইন্টারনেট বিকেন্দ্রীকরণ শুরু করবেন তাঁরা এবং নতুন ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমানের ইন্টারনেট ব্যবস্থার বিকল্প গড়ে তুলবেন।
২০০৮ সালে বিটকয়েন উদ্ভাবন করেন কম্পিউটারবিজ্ঞানী সাতোশি নাকামোতো। এটি তাঁর ছদ্মনাম৷ বিটকয়েন ব্যবহার করে অনলাইনে খুব সহজে কেনা-বেচা করা যায় বলে এ মুদ্রাব্যবস্থাকে পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন বা স্বাধীন গ্রাহক থেকে গ্রাহকের মধ্যে অনলাইন লেনদেন নামে অবহিত করা হয়। বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগব্যবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়।

বিটকয়েনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার যেভাবে কাজ করে, বিটক্লাউডের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সেভাবে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।