কক্সবাজার সৈকতে সবচেয়ে বর্ণিল যে উৎসবটি হয়, সেটি সম্ভবত জাতীয় ঘুড়ি উৎসব। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তির আগের শুক্র ও শনিবার বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমিতে এ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বছরের উৎসবটা বসছে নিয়মিত সময়ের কিছুটা পরে। এবারের জাতীয় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি।

ঘুড়ি উৎসবের প্রধান জায়গাটি হল কক্সবাজারের লাবনী ও সুগন্ধা সমুদ্র সৈকত। নানান আয়োজনে পালন করা হয় এ উৎসব। কক্সবাজার সৈকতের আকাশ রাঙিয়ে এ ২দিন উড়ে বেড়ায় রং-বেরংয়ের হাজার ঘুড়ি।

কক্সবাজারে পৌঁছে প্রথম দিন সকালে সৈকতে ঘুড়ি উড়ানোর প্রস্তুতি আর মহড়া চলে। এ দিন বিকালে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এবারের উৎসবের সূচনা করবেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন।

উৎসবের আসল পর্বই হল সৈকতে ঘুড়ি উড়ানো। উৎসবের শুরুর দিনে উড়ানো হয় সহস্র ঘুড়ি, পকেট ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি, ট্রেন ঘুড়ি, সিরিজ ঘুড়ি, স্ট্যান্ড ঘুড়িসহ নানান নামের, নানান রং ঢং-এর সব ঘুড়ি।

এছাড়া এদিন সন্ধ্যায় সৈকতে জ্বালানো হয় মঙ্গল প্রদীপ। আকাশে ওড়ানো হয় ফানুস আর আলোকিত ঘুড়ি। দাহ্য করা হয় প্রকৃতি বৈরী দানবের প্রতিকৃতি।

 

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে থাকে ঘুড়ির কাটাকাটি প্রতিযোগিতা। আধুনিক ঘুড়ি প্রতিযোগিতা। মাইক্রো লাইট প্লেন উড্ডয়ন। পুস্প বর্ষণ আর সিংহ নাচ।

উৎসবের শেষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

আয়োজকদের একজন আল মামুন মৃধা জানালেন উৎসবটি সবার জন্যই উম্মুক্ত। তবে আয়োজক দলের সঙ্গে ঢাকা থেকে গিয়ে এ উৎসবে অংশগ্রহন করতে চাইলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে।

যোগাযোগের ঠিকানা: বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন, ১, সিদ্ধেশ্বরী লেইন, ঢাকা। ফোন- ৮৩৫১৭৩৬।